শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৮ অপরাহ্ন

বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনা কোন দিকে?? নাগরিক ভাবনা—-

বাংলাদেশের রাষ্ট্র পরিচালনা কোন দিকে?? নাগরিক ভাবনা—-

একেএম,রুহুল আমীন স্বপন( স্টাফ রিপোর্টার)

আওয়ামী লিগ–

উঁচু পর্যায়ের নেতারা ভারতে শরণার্থী হয়েছে। ভারত তাদের থাকা খাওয়ার বন্দোবস্ত করে দিচ্ছে। তারা আশা করছে দেশে ব্যাপক বিশৃঙ্খলা তৈরি হলে ভারতের সহযোগিতায় আবার দেশে পুনর্বাসিত হবে।নিচের সারির নেতারা মামলার ভয়ে আত্মগোপনে।

বিএনপি—
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের
নেতাকর্মীদের মনে সুখের স্রোত ধারা বইছে (দীর্ঘ ১৭ বছর ),এতদিন পর তারা ক্ষমতার সু-বাতাস পাচ্ছে। দেশে শৃঙ্খলা বা বিশৃঙ্খলা যাই হোক আসন্ন সুখের দিনগুলোর কথা চিন্তা করেই সুন্দর সময় পার করছে,বহিস্কার চিন্তাও মাথায় আছে তাদের। তবে তাদের ত্যাগের কথা মনে রাখতে হবে।

জামায়াত—

তাদের নেতাকর্মীরা অত্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। তারা দিন রাত নিরলস পরিশ্রম করে সদ্য ঘটে যাওয়া আন্দোলনের যত ক্রেডিট এখানে ওখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, সেগুলোকে গনিমতের মাল মনে করে দলীয় বস্তায় ভর্তি করছে।নেতারা আবার বলছেন ,আমরা সব ক্ষমা করে দিয়েছি। তিনি বা তারা ক্ষমা করার কে??
আবু সাইদ ,মুগ্ধর পরিবারের কেউ???
তারা কি যানে ,মুগ্ধর জানাযাটা তার এলাকায় দিতে পারেনি , উত্তরার ১৩ নং সেক্টরে মুগ্ধর খালুর বাসার এলাকায় জানাযা হয়েছিল।

ছাত্র নেতৃত্ব ও সমন্বায়ক —

তারা খুবই কনফিউজড অবস্থায় আছে। তারা দেশের ছাত্র নাকি জনতা, তারা নেতা নাকি কর্মী, তারা ক্ষমতায় নাকি রাজপথে, তারা রাজনৈতিক নাকি অরাজনৈতিক, এসব কনফিউশনে নিজেদের মধ্যে ব্যাপক বিতর্ক করে সময় কাটাচ্ছে।সাথে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্হদের পাশে দারিয়েছে যেভাবে ,তাদের সেলুট।এখন তারা আবার নেত্রকোনা সহ ঐ এলাকায় কাজ করছে।❤️

সরকারি কর্মকর্তা ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী —

এই শ্রেণি কখনো মোটিভেশন ছাড়া চলতে পারে না। তাদের মোটিভেশন দুই জায়গা থেকে আসে এক, ক্ষমতাসীন শাসকের প্রিয় হওয়ার লোভ, দুই, ঘুষ। এখন দুইটা মোটিভেশনের একটাও নাই। বিরিয়ানি না হলে যেমন মিছিল হয় না, তবারক না থাকলে যেমন মিলাদ হয় না, পর্যাপ্ত মোটিভেশন না থাকায় তাদের নড়াচড়াও বন্ধ আছে।তবে আশাবাদী অচিরেই ঠিক পথে এগুবে বাংলাদেশ।

ডঃ ইউনুস সাহেব ও সহযোগীরা—

তারা যেভাবে এনজিও চালিয়েছে এখনো তাই মনে হচ্ছে। এনজিও চলে বিদেশি সাহায্যে। নিজস্ব উৎপাদন না হলেও চলে। সেভাবে দেশে ব্যাবসা বাণিজ্য স্থবির হয়ে থাকলেও তারা বিদেশি সাহায্য পেয়েই খুশি। তাকে আরো কঠোর হতে হবে, প্রয়োজনে রাজনৈতিক দলের সাথে মাসে একটা মিটিং করেন ,দেশের জন।এনজিও ব্যবসার মতই বর্তমান সরকারের তাত্ত্বিক উদ্যোগ গুলো মাঠ পর্যায়ে আশার আগেই অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে।
আমরা আশাবাদী অচিরেই ভালো কিছু আসবে ইনশাআল্লাহ।

জনগণ+++

আমরা সাধারণ জনগন আছি অপেক্ষায়। দেখি না কী হয়, এই করে দিন পার করছে। একটু একটু করে অধৈর্য হচ্ছে। তবে দেশটা আমাদের সবার,তাই একত্রে দেশটাকে এগিয়ে নিতে হবে।চোখ কান খোলারেখে।
সাবাস বাংলাদেশ ❣️❣️

শেয়ার করুন

Comments are closed.




দৈনিক প্রতিদিনের কাগজ © All rights reserved © 2024 Protidiner Kagoj |